ব্রেকিং নিউজ
বিসিএস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সর্বশেষ সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ ব্যাংক চাকরির প্রস্তুতির টিপস ও কৌশল ভাইভা পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫: সর্বশেষ আপডেট প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স চাকরির পরীক্ষার জন্য ইংরেজি গ্রামার বিসিএস পরীক্ষার জন্য গণিতের শর্টকাট চাকরির ইন্টারভিউর জন্য টিপস সাধারণ জ্ঞান কুইজ ২০২৫ বিসিএস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সর্বশেষ সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ ব্যাংক চাকরির প্রস্তুতির টিপস ও কৌশল ভাইভা পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫: সর্বশেষ আপডেট প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স চাকরির পরীক্ষার জন্য ইংরেজি গ্রামার বিসিএস পরীক্ষার জন্য গণিতের শর্টকাট চাকরির ইন্টারভিউর জন্য টিপস সাধারণ জ্ঞান কুইজ ২০২৫ বিসিএস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সর্বশেষ সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ ব্যাংক চাকরির প্রস্তুতির টিপস ও কৌশল ভাইভা পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫: সর্বশেষ আপডেট প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স চাকরির পরীক্ষার জন্য ইংরেজি গ্রামার বিসিএস পরীক্ষার জন্য গণিতের শর্টকাট চাকরির ইন্টারভিউর জন্য টিপস সাধারণ জ্ঞান কুইজ ২০২৫

কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই ! ড. মুহাম্মদ মোরশেদুল হক

!!! কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই !!!




আমরা সাধারণত যেটা বুঝি, আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য দরকার শিক্ষার গুণমান ও মানসম্পন্ন শিক্ষাদান, গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্ব, যোগ্য ফ্যাকাল্টি, প্রতিভাবান শিক্ষার্থী, উচ্চ স্তরের তহবিল এবং সুসজ্জিত সুবিধা ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে আমার বুঝটা একটু ভিন্ন। যদি আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই মানের করতে চাই তাহলে আগে আমাদেরকে একাডেমিক এবং শিক্ষাগত উৎকর্ষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিম্নের মৌলিক বিষয়গুলোর উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।


১। “পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস” যার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকবে। ক্যাম্পাসে পানি চলাচলের এমন ব্যবস্থা থাকবে যাতে রাস্তায় পানি ও কাদা না জমে। রাস্তার দুই ধারে ৩/৪ ফুট প্রশস্ত ফুটপাথ থাকবে। বাকি সব খালি জায়গা সবুজ থাকবে।

২। “একটি আধুনিক সুসজ্জিত নিরাপত্তা পুলিশ টিম” যারা হবে প্রশিক্ষিত, স্বরক্ষিত এবং প্রযুক্তিগত ও পরিবহন সুবিধাপ্রাপ্ত। তারা ক্যাম্পাসে সকল ঘটনা এবং সহিংসতা মোকাবেলা করবে।

৩। “একটি বিশেষজ্ঞ আইটি ও সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট টিম” যারা ক্যাম্পাসে সকল ধরনের আইটি ও স্মার্ট অটোমেশন সার্ভিস প্রদান এবং বজায় রাখবে।

৪। ”পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং কোর্স”, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত এবং নতুন চাকুরিতে যোগদানের ৬(ছয়) মাসের মধ্যে সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে এই অনলাইন ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। যার মধ্যে থাকবে “পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা আনয়ন”, “প্রকল্প নিরাপত্তা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা”, “নৈতিকতা এবং পেশাগত আচরণ”, “সমান সুযোগ: বৈষম্য, হয়রানি ও ধমক”, “ডেটা সুরক্ষা ও গোপনীয়তা”, “সাইবার নিরাপত্তা”, “জালিয়াতি ও দুর্নীতি বিরোধী”।

৫। ”স্বাস্থ্যকর খাবার এবং আবাস” যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তাদের নিজেদের ব্যবস্থাপনায় যুক্তিসঙ্গত মূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ইন্টারনেট ও বিনোদন সুবিধা সহ শিক্ষাবান্ধব নিরাপদ আবাস সুনিশ্চিত করা হবে। 

৬। ”মানসম্পন্ন ইনডোর এবং আউটডোর গেম জোন” যেখানে থাকবে সুইমিং পুল এবং ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, লং-টেনিস ও টেবল-টেনিস খেলার মাঠ ইত্যাদির আধুনিক সুব্যবস্থা।

৭। ”আধুনিক সুসজ্জিত মেডিক্যাল সেন্টার স্থাপন” যেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক সহ সাধারণ চিকিৎসা পরীক্ষার সরঞ্জামাদি (প্যাথলজি পরীক্ষা, এক্স-রে, ইসিজি) এবং স্মার্ট রোগী ব্যবস্থাপনা ও স্মার্ট প্রেসক্রিপশন সিস্টেম থাকবে।

৮। “বিশ্ববিদ্যালয় সংযোগ/ইউনিভার্সিটি কানেক্ট” নামে সেবা কমপ্লেক্স স্থাপন করা। যেখানে থাকবে একটি বিশেষ ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার যার মাধ্যমে স্টুডেন্টদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার প্রয়োজনীয়তা, যেমন- অধ্যাদেশ, একাডেমিক/রেজিস্ট্রার অফিস, ভর্তি, বৃত্তি/অর্থ/ঋণ, হলের আসন, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম ও অন্যান্য বিষয়াদি সংক্রান্ত তথ্য প্রদান ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে খণ্ডকালীন চাকুরীর ভিত্তিতে স্টুডেন্ট প্রতিনিধি নিয়োগ করে কাজের গতি তরান্বিত করা যায়। উক্ত সেন্টারে ব্যাংক, ঔষধালয়, বুকসপ, স্টেশনারি দোকান, কম্পিউটার/প্রিন্টিং/ফটোকপির দোকান, ফুড কোর্ট, স্যুভেনির কর্নার, জাদুঘর, প্রদর্শনী হল, কাউন্সেলিং রুম, ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ, বাচ্চাদের গেম জোন ইত্যাদি সেবা থাকবে।

৯। ”নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ” যাতে সর্বাবস্থায় নিরাপত্তা জনিত নজরদারি ব্যবস্থা, ইন্টারনেট ও কেন্দ্রীয় সার্ভার সক্রিয় থাকে।


আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা থাকলে উল্লেখিত বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আন্তর্জাতিক মানের রূপ দেয়া সম্ভব। তবে পর্যাপ্ত অর্থের যোগান ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশ চ্যালেঞ্জিং। অর্থের যোগান বৃদ্ধির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি, খরচ অপ্টিমাইজেশান, টেকসই উন্নয়ন এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত ও দ্রুত সেবা ও সুবিধাদি প্রদানের মাধ্যমে ফি আরোপ, গেম জোন থেকে আয়, সার্বজনীন চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বীমা চালু, অনলাইন পেশাদার সার্টিফিকেট প্রশিক্ষণ কোর্স চালু এবং বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টার, টেস্টিং সেন্টার ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে আভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি করতে পারে। আর সকল ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং-এ রুফটপ সোলার প্যানেল ভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করে বিদ্যুৎ খরচ ও পাওয়ার গ্রিডের উপর নির্ভরতা হ্রাস এবং কেন্দ্রীয় গ্যাস/তেল জেনারেটর ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। উল্লেক্ষ্য যে, মানসম্পন্ন পরিবহন ও পরিচ্ছন্নতা সেবা নিশ্চিত করা এবং উক্ত খাতে ব্যয় সংকোচনের জন্য পরিবহন বিভাগ এবং পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগকে তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করে চুক্তি ভিত্তিক পরিষেবা গ্রহণ উত্তম। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক দৌরাত্ম্য ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি সম্পূর্ণ বন্ধ করে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা ও প্রজ্ঞাকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণাকে সমুন্নত রেখে জ্ঞান তৈরি ও সঞ্চালন, নেতৃত্বের জন্য উচ্চ দক্ষ কর্মী তৈরি এবং সমাজের চাহিদা পূরণে মূল ভূমিকা পালন করায় আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত।

© নিজস্ব ভাবনা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম